কোচ হিসেবে ২০২ ম্যাচে বহুবার দল পরিবর্তন করেছেন জিদান। তিনি আগের ম্যাচে যে দলে খেলান, পরের ম্যাচে সেই দলের ওপর আস্থা রাখতে পারেন খুব কমই। কোচিং ক্যরিয়ারে ২০২ ম্যাচে একাদশবার দল পরিবর্তন করেছেন।
বলা হচ্ছে, একাদশে পরিবর্তন আনতে অনেক বেশি ভালোবাসেন জিদান। তার একাদশ পরিবর্তনের ইতিহাসই বলে দিচ্ছে, তিনি এই কাজ কতটা পছন্দ করেন। ২০২ ম্যাচে মোট ১৭৮ বার একাদশ পরিবর্তন করেছেন জিদান।
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে চার বছরের কম-বেশি দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়টাতে জিদান মোট ৪৮জন ফুটবলারকে খেলিয়েছেন রিয়ালের জার্সিতে।
তবে তার একাদশে প্রায়ই যারা জায়গা পান কিংবা পেতেন, তারা হলেন কেইলর নাভাস, দানি কারভাহল, পেপে, সার্জিও রামোস, মার্সেলো, ক্যাসেমিরো, টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচ, গ্যারেথ বেল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা। তবে, মজার বিষয় হলো, এই ফুটবলাররা মাত্র ৭টি ম্যাচে একসঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
এই চার বছরে জিদান সর্বোচ্চ টানা ১৫ ম্যাচে একাদশ পরিবর্তন করার রেকর্ড রয়েছে। এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি মোট দু’বার। সুপার কোপা ডি এস্পানা থেকে শুরু করে টানা দুই ম্যাচে একই একাদশ খেলাননি তিনি।
করোনাভাইরাসের পর দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হলে তিন ম্যাচেই মোট ১৫জন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়কে শুরুর একাদশে জায়গা দিয়েছেন জিদান। এরমধ্যে আবার ইনজুরির সমস্যাও আছে। যেমন- ইসকো, নাচো ফার্নান্দেজ, লুকাস ভাসকুয়েজ, মারিয়ানো দিয়াজ এবং লুকা জোভিক। এছাড়া এডার মিলিটাও, গ্যারেথ বেল, ব্রাহিম দিয়াজ এবং মার্কো আসেনসিও- এরা শুরুর একাদশে থাকার সুযোগ পাননি এখনও।
জিদান সব সময়ই চান মৌসুমের শেষ পর্যন্ত যেন তার দলটি খুবই অটুট থাকে, কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়া তিনি কখনোই প্রতিপক্ষকে তার একাদশ সম্পর্কে আগাম কোনো ধারণা দিতে চান না। জিদান চান, তার দলের প্রতিটি ফুটবলারই শুরুর একাদশে খেলার যোগ্যতা সম্পন্ন হোক। সবাই যেন সব সময় প্রস্তুত থাকে, যে কোনো মুহূর্তে খেলার জন্য। হামেস রদ্রিগেজকে গত রোববার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শুরুর একাদশে মাঠে নামিয়ে তিনি সেটাই প্রমাণ করলেন।
Leave a Reply